তখন আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপও ফেল৷ মুখ থুবড়ে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা৷ হুঁশিয়ারি দিলেন শাহনওয়াজ আলি রায়হান
মেরেকেটে একমাসও নেই পরীক্ষার৷ দিনরাত কোমরবেঁধে পড়ছে৷ বর্হিবিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক প্রায় নেই বললেই চলে৷ শুধু পড়া আর পড়া৷ বেশিরভাগই ঝেড়ে মুখস্ত৷ তবু মহাফাঁপড়ে পড়েছে সন্ত্ত৷ এখনও অনেকটা পড়া বাকি৷ যতটা হয়েছে তার বেশিরভাগই মনে থাকছে না৷ সব পড়াই নতুন লাগে৷ কাউকে যে জিজ্ঞেস করবে , তারও উপায় নেই৷ সিলেবাস শেষ হয়ে যাওয়ায় ক্লাস -কোচিং সব বন্ধ৷ বন্ধুরাও পরীক্ষার প্রস্ত্ততিতে ব্যস্ত৷ স্যারদের কাছে গেলে বিষয়টা তাঁরা বুঝিয়ে দেবেন ঠিকই , কিন্ত্ত বেশিরভাগ পড়াই তো নতুন লাগছে৷ বারবার যেতে -আসতে সময়ও কম অপচয় হবে না৷ বন্ধুদের বারবার ফোনে বিরক্ত করতেও খারাপ লাগে৷ কী করবে কিছুই বুঝে উঠতে পারে না সন্ত্ত৷ রেজাল্ট ভালো করার জন্য আরও বেশি পরিশ্রম করতে রাজি সে৷ কিন্ত্ত পরীক্ষা ভালো হতেই হবে৷ কিছুই যে মনে থাকছে না , বুঝতেও পারছে না , সময়ও কম , অনেক পড়া বাকি৷ কবে মুখস্ত শেষ করবে আর কবে রিভাইজ দেবে ?শুধু একা সন্ত্ত নয় , এমন সংকটজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন ফাইনাল পরীক্ষার আগে অনেক ছাত্র -ছাত্রীরই হতে দেখা যায়৷ এর জন্য তারা নিজেরাই দায়ী৷ এরা সারাবছর টইটই করে ঘুরে বেড়ায় , বাড়ির লোক যতই যা বলুন পড়তে বসতে এদের অ্যালার্জি৷ ক্লাসে স্যার পড়াবেন আর বাবুরা পেছনে বসে খাতার পাতায় কাটাকুটি খেলবেন ! কোচিং ক্লাস এদের কাছে কফি -হাউসের আড্ডা ! সারাবছর ভাবখানা এমন , ‘আরে পরীক্ষা তো অনেক দেরি৷ ওস্তাদের মার শেষরাতে৷ ’ অথচ সেই রাতগুলোই ওদের কাছে দুঃস্বপ্নের রাত হয়ে ওঠে৷ তখন নিজের উপরই রাগটা বেশী হয়৷ মনে হতে থাকে - ইস ! যদি আর একটু আগে থেকে পড়াটা শুরু করতাম৷ স্কুল যখন সারাবছর করলাম , তখন ক্লাসে স্যারের কথাগুলো যদি আর একটু মনোযোগী হয়ে শুনতাম৷ এদের গল্পটা বেশ মজার - সারা বছর পড়বেও না , আবার রেজাল্টও খারাপ করতে রাজি নয়৷ আলাদিনও বুঝি আশ্চর্য প্রদীপের জিনের সামনে এমন আবদার করতে শরমিন্দা হবে !দিনরাত একদিক থেকে সব মুখস্ত করে যাওয়া হবে আর ব্রেইন তা ধরে রাখবে আর পরীক্ষা এলেই একদিক থেকে উগরে দেবে এমন ভাবাটাই ভুল৷ সন্ত্তদের বোঝা উচিত্ , মানবমস্তিষ্কের একটা ধারণক্ষমতা আছে৷ অথচ তারই সহপাঠী শুভ পরীক্ষার সময় এতো রাত জেগে পড়েও না , মুখস্তও করে না৷ অথচ রেজাল্টের দিন দেখা যায় প্রথম পাঁচে শুভর নাম আছেই৷ শুভ যেটা করে সেটা হলো , স্যার -দিদিমনিরা যখন পড়ান তখন সে বিষয়টা মন দিয়ে বোঝার চেষ্টা করে৷ নোট নেয়৷ আর হোমওয়ার্কগুলো নিয়মিত করে৷ কাজটা কি খুব কঠিন ?
Source: Ei Samay
0 comments:
Post a Comment